সংক্ষিপ্ত বিবরন : মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে খারাপ কথা বলতে নেই। ছোটবেলায় শোনা এ কথা মানতে বাধ্য সবাই। কারও না-ফেরার দেশে প্রবেশমাত্রই আমাদের বলতে হয়, ‘বড় ভালো লোক ছিলেন, উজ্জ্বল প্রতিভা, সংস্কৃতিমনা পরিবারে বেড়ে ওঠা...।’ হুমায়ূনের অনুপস্থিতিতে তাকে নিয়ে কিছু বলা চিরাচরিত এ টাইপ স্তুতির বাইরে কি-না, এ প্রশ্ন অসঙ্গত নয়। তবে সমস্যা হচ্ছে, হুমায়ূন অন্য লোকের মতো নিজেই নিজেকে শনাক্ত করেছেন প্রতিটি সৃষ্টিকর্মেই। একটু কঠিনই তার ছিদ্রান্বেষণ। তার প্রয়াণ মুহূর্ত থেকে খোদ প্রকৃতিও সম্মত আশ্চর্য এ নক্ষত্রের সব কামনা পূরণে। হয়তো অনেক অনেক অতিক্রান্ত সময় পর কিছুটা অনুমান করা যেতে পারে তার রহস্যময় সৃষ্টিজগৎ। অথবা কুৎসিত যত গুঞ্জণের পরও মানুষের আকাশস্পর্শী ভালোবাসা কী করে পান এই মানুষ—এর উত্তর।