সংক্ষিপ্ত বিবরন : রহমান তার শয্যার পাশে একটি আসনে উপবিষ্ট। বনহুর বললো, কি নাম বললে মেয়েটির? শিবানী। বললো রহমান। আপন মনে উচ্চারণ করলো বনহুর, শিবানী। ব্রাহ্মণকন্যা শিবানী। রহমান, শিবানীকে তার পিতার নিকটে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করেছো? পৌঁছে দেওয়া কঠিন হবে না সর্দার, কিন্তু... কিন্তু কি? থামলে কেন বলো? সর্দার, শিবানীকে তার পিতা গ্রহণ করলে সমাজ সেই বৃদ্ধাকে ত্যাগ করবে। শিবানীর বাবা পূজোরী ব্রাহ্মণ কাজেই সমাজ ছাড়া বাঁচার কোনো পথ নেই। রহমানের কথা শুনে একটু হেসে বললো বনহুর- রহমান, পৃথিবীটা অর্থের দাস। শিবানীর বাবার যদি প্রচুর অর্থ থাকে তাহলে সমাজ কেন, সমাজপতিরাও তাকে পূজো করবে। অর্থের প্রাচুর্যে ঢাকা পড়বে শিবানীর সব কলঙ্ক। তুমি বৃদ্ধ ব্রাহ্মণকে বহু অর্থ দিয়ে আসবে যেন তার অপরের কাছে হাত পাততে না হয়।