সংক্ষিপ্ত বিবরন : বে-নূর আঁধার আর আঁধার। যখন-তখন আলো যাচ্ছে। যখন-তখন কারফিউ। অন্ধকার এক সময় চোখ সওয়া হয়ে যায়। কিন্তু কাতর করে ফেলে ভদ্রের দুঃসহ গরম। হার্টের রোগী বাবাকে বিশেষ করে। দরোজা সব তো বন্ধ। জানালাগুলো পর্যন্ত। ফ্ল্যাট বড় রাস্তার ধারে হয়ে আরও মুশকিল। জানালা যদি একটু খোলা থাকে, জ্বালানো থাকে মোমের আলো, নিচ থেকে ছুটে আসে আগুনের গোলা। নিকট অতীতের কবে শেখ মুজিব সাতই মার্চের বক্তৃতায় ‘ঘরে ঘরে দুৰ্গ’ গড়ার কথা বলেছিলেন, সেই বাণী বাঙালিদের চেয়ে কম মনে রাখে নি। খানসেনারাও। আতঙ্কিত মনে রাখা কুপি, হারিকেন, মোম যে কোনো শিখাই ওদের চমকে দেয়। ফেলে মহা ভাবনায়। ভাবটা এমন, ঐ আলোর তলায় চলছে পরিকল্পিত কোনো ছক। যা পাকিস্তানি সেনাদের জন্য বয়ে আনতে পারে বিপজ্জনক বিপাক পরিস্থিতি। জানালার পাট খোলা যায় না। বারান্দায় শীতল পাটি বিছিয়ে শোয়াটাও আশঙ্কার। অকারণে রাতভর গোলাগুলি ছুটতেই থাকে।.......