সংক্ষিপ্ত বিবরন : সেলিমের যেমন ছিল আনারকলি, খানের ছিল তার স্ত্রী, নাম ধরা যাক মাসুদা- কিন্তু খান তাকে ডাকতেন মানসী বলে। রবীন্দ্রনাথ পড়িয়ে খান যখন ঘরে ফেরেন আর ঠোঁটে আধাফোঁটা গোলাপের একটু হাসি ধরে এগিয়ে আসে মানসী, তখন সে নামে আর নারীতে, রঙে-রেখায় একাকার হয়ে যেন শিল্পীকে দেয় সার্থকতা। আনন্দে ভরপুর হয় খানের জীবন। আর ছিল খানের একটা স্বপ্ন- চিত্র পরিচালনার। অন্যরকম একখানা গল্প থেকে অভূতপূর্ব একটা সিনেমা বানানোর স্বপ্নে বিভোর খান বিদেশের মাটিতে দালাল দ্বারা প্রতারিত আর প্রযোজকের কাছ থেকে বিতাড়িত হয়ে ক্রমে নেমে এলেন বাস্তবের শক্ত মাটিতে নিঃস্ব-রিক্ত হয়ে। আনারকলির মত কবর হল তার স্বপ্নের, সেইসাথে কবরসঙ্গী হল খানের সংসারের সব সুখ।