সংক্ষিপ্ত বিবরন : বনহুর নূরী এবং কেশবসহ গুহার শেষভাগে সুড়ঙ্গমুখে এসে দাঁড়ালো। মুক্ত আলো-বাতাস তার চোখেমুখে লাগতেই এবং জলপ্রপাতে নজর পড়তেই উচ্ছল হয়ে উঠলো সে খুশিতে। সোনালী সূর্যের আলো রূপালী জলপ্রপাতে পড়ে অপূর্ব সুন্দর লাগছিলো। নূরী বনহুরের দক্ষিণ হাতখানা চেপে ধরে খুশিভরা কণ্ঠে বললো- ‘হুর, কী সুন্দর, না?’ বনহুর তখন গম্ভীর কণ্ঠে বললো, ‘সুন্দরের মাধুর্য উপভোগ করার সময় এখন নয়। কি করে আমরা এখন এ গুহা থেকে জংলীদের নিষ্ঠুর দৃষ্টি এড়িয়ে চলে যেতে পারি, সেই চিন্তা করতে হবে।’ বনহুরের কথায় নূরীর মুখ চিন্তাযুক্ত হলো। কেশব বললো, ‘ভয়ানক দুশ্চিন্তার কথা বাবু, কি করে এখান হতে যাওয়া যাবে?’ ‘উপায় একটা করতেই হবে কেশব।’ বনহুর সুড়ঙ্গমুখে দাঁড়িয়ে তাকাতে লাগলো দূরে চারিদিকে। সুড়ঙ্গমুখের উপরেই সুউচ্চ পর্বতমালার শ্রেণীবদ্ধ শৃঙ্গ, আর নীচে জলপ্রপাতের কাকচক্ষুর ন্যায় স্বচ্ছ জলরাশি পর্বতমালার গায়ে অসংখ্য গাছ-পাছড়া আর লতাগুল্ম আচ্ছাদিত। বনহুর ভ্রু কুঞ্চিত করে কি যেন ভাবলো, তারপর বললো, ‘এসো কেশব, আমাদের জলপথেই পালাতে হবে।’ ‘জলপথে!’ অবাক কণ্ঠে বললো নূরী। বললো বনহুর, ‘হাঁ, জলপথে। জলপথে পালানো ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।’