সংক্ষিপ্ত বিবরন : ইংরেজি সাহিত্য পড়ার সময় মনে হতো কবিতাগুলোর বাংলা শুনতে পেলে কেমন হয়? আলফ্রেড টেনিসন, জন কীটস্, উইলয়াম ওয়াস্অ্যরথ্, পি বি শেলী, ওয়াল্ট হুইটম্যান, টি এস এলিয়ট, রবার্ট ফ্রস্ট-এঁদের ক্লাসিকের কাছে যাবার সাহস হতো না। তবু মন টেনেছে বার বার। অনুবাদ প্রতিধ্বনির মতো। দিগন্ত অথবা পাহাড়ের ওপার থেকে ফিরে ফিরে আসে প্রথম ধ্বনির কাছে। অনুবাদে শব্দ যেমন রূপ বদলায়, ধ্বনি-ফুলের ঘ্রাণেও আনে বৈচিত্র। যে কোনো ভাষার কবিতাই, কবিতা। এর শব্দ ও বাক্যের বাঁকে বাঁকে যে ধ্বনি-মধুর ভাব ও আবেগের নদী বয়ে চলে তার তরঙ্গের উত্তরণে উদ্বেলিত হতে হয়। অন্যভাষার আলোয় এদের অনুজ্জ্বলতা অদৃশ্যমান নয়। তাই অনুবাদ ভাষান্তরের অংগন পেরিয়ে কাব্যবাগ যেন হয়, এই প্রচেষ্টার অন্তহীনতা অনুভূত হয় সবসময়।