সংক্ষিপ্ত বিবরন : পারু তখন নাজুক পায়ে বাড়ি থেকে নামছে। সাবধানে চারদিক তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে। জ্যোৎস্নায় স্পষ্ট দেখা যায় তাকে। শাড়িখান পাছকোমর করে পরেছে। হাঁটছে। এত সুন্দর ভঙ্গিতে, পরীর মতো লাগে পারুকে। আর সেই দৃশ্য দেখে দমবন্ধ হয়ে আসে গজুর। শরীরের উত্তাপ বেড়ে যায়। ঝোপঝাড়ের আড়ালে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। মনে মনে ডাকে আয় পারু, আয়। কখন কোন ফাঁকে কোমর থেকে ভোজালিটা বের করে হাতে নিয়েছিল, গজুর খেয়াল নেই। জ্যোৎস্নায় ভোজালির ধারটা নদীর জলের মতো ঝিলিক দিচ্ছিল। হাতের ভোজালিটা একবার তাকিয়ে দেখে গজু। দেখে বুকের ভেতরটা জীবনে প্রথমবারের মতো কেন যে একটু কেঁপে ওঠে, বুঝতে পারে না। পারু আসছে।