সংক্ষিপ্ত বিবরন : বনহুর ভাবতে লাগলো, কী করে এই মরণ-বিভীষিকা থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়! দিনের পর দিন এখানে প্রতীক্ষা করলেও কোনো নাবিক বা কোনো জলযানের সাক্ষাতের সম্ভাবনা নেই। ক্ষুধায় কাতর তারা। ভাগ্য পানিটা লবণাক্ত নয়, তাই রক্ষা। যখন উচ্ছ্বসিত ঢেউগুলি আছড়ে পড়ে তাদের গায়ে এবং আশপাশে, তখন নূরী আর বনহুর আজলা ভরে পান করে সেই পানি। কিন্তু শুধু পানি পান করে কতক্ষণ এই পাথরটার উপরে বেঁচে থাকা যাবে!যতই বেলা বেড়ে উঠছে, বনহুর ততই বিষন্ন-মলিন হয়ে পড়ছে আর বুঝি রক্ষার কোনো উপায় নেই। দেহের শক্তিও ক্ৰমান্বয়ে শিথিল হয়ে আসছে যেন। বেঁচে থাকার যে উদ্দীপনা, সব যেন নিভে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। বনহুর যখন উদ্ধারের কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছে না, ঠিক তখন দূরে একটা মস্ত বড় কালো মতো কিছু যেন এদিকে ভেসে আসছে বলে মনে হলো তার।