সংক্ষিপ্ত বিবরন : ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের একটি রচনা। উপন্যাসটি শুরু হয় মূলত একটি দরিদ্র মুসলিম পরিবারের গল্প নিয়ে। যে পরিবারে রোগগ্রস্ত বৃদ্ধ মা, ৩ জন বিধবা পুত্রবধূ ও তাদের দেবর প্যাঁকালে। পরিবারের প্রায় অনেকগুলো সন্তানের ভরণপোষণের ভার আঠারো-উনিশ বছরের প্যাঁকালের ওপর। উপন্যাসে নজরুলের দ্বৈতসত্তার প্রকাশ ঘটেছে প্যাঁকালে ও আনসার চরিত্রের মধ্যে। আবার মেজ বউ-রুবি চরিত্রও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। উপন্যাসের চরিত্ররা ক্ষুধার তাড়নায় ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে। ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য মেজ বউকে এক যুদ্ধরত নারীর জীবন বেছে নিতে হয়েছে। কিন্তু তারপরও মেজ-বৌকে ফিরে আসতে হয় তার চিরচেনা সেই বস্তিজীবনে। সে মিশনারীদের বহু অনুরোধেও তিনি আর ফিরে যাননি আবার তওবা করে মুসলমানও হননি। কাজী নজরুল ইসলামের এ উপন্যাসে যুদ্ধোত্তর সময়ের শ্রেণিবৈষম্য, অর্থসংকট, নগরচেতনার প্রকাশ পেয়েছে। এখানে দারিদ্রের চিত্র, সাম্য ও বিপ্লবীচেতনা অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত।