সংক্ষিপ্ত বিবরন : কোর্টে এতক্ষণ অনেক হইচই চলছিল। কিন্তু এখন পিনপতন নিস্তব্ধতা। জজসাহেব রায় দেবেন। কুখ্যাত এই খুনি সম্পর্কে পত্রপত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। সবাই ভেবেছিল জজসাহেব তাকে কঠিন শাস্তি দেবে। কিন্তু তার বদলে জজসাহেব তার রায়ে বললেন, আসামিকে বেকসুর খালাস শুধু দেয়া হলো তাই নয়, সসম্মানে তাকে যেন এ কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকেই মুক্ত করে দেয়া হয়। জজসাহেবের রায়ে কোর্টের সবাই বিস্মিত হতবাক। কিন্তু রায় রায়ই। আজগর আহমেদ খুব নাটকীয় ভঙ্গিতে হাতের হাতকড়া উপরে তুলে পুলিশকে বলল, কি দেরি কেন? হাতকড়া খোল। পুলিশ বেচারাও কিছু বুঝতে পারেনি। সে ভাবতেই পারেনি, এ রকম একজন আসামিকে জজসাহেব এভাবে বেকসুর খালাস দেবেন। তারপরও হতভম্ব হয়ে পুলিশটি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে হাতকড়াটা খুলে দেয়। খোলার সঙ্গে সঙ্গে আজগর আহমেদ মহা আনন্দে লাফ দিয়ে জজসাহেবের উঁচু টেবিলটার সামনে দাঁড়িয়ে বলে, ধন্যবাদ স্যার আপনাকে। তারপরই দৌড় দিয়ে সে বেরিয়ে যায় দরজার দিকে। জজসাহেবের ছেলে প্রায় আর্তচিৎকার করে ছোটকাকুকে বলেন, আজগর আহমেদ তো পালিয়ে যাচ্ছে। কিছু একটা করুন। একই সঙ্গে জজসাহেবের ছেলের বউ ডুকরে কেঁদে উঠলেন। কি হবে আমার টিংকুর?